‘ইস্পাহানকে তার শ্বাস ফিরিয়ে দাও, আমাদের জায়ানদেহ্ নদীকে আমাদের ফিরিয়ে দাও’—এই দাবিতে গলা মিলিয়ে গর্জে উঠেছেন ইরানের ইস্পাহান প্রদেশের কৃষকেরা। আস্তে আস্তে যোগ দেন অন্যান্যরাও।
কারণ, জায়ানদেহ্ রুদের শুকিয়ে যাওয়া শুধু যে কৃষকদের জীবিকার উপরে থাবা বসিয়েছে তা নয়, তিলে তিলে এর কুপ্রভাব পড়েছে পরিবেশের উপরেও। যেখানে দাঁড়িয়ে প্ল্যাকার্ড-পোস্টার হাতে প্রতিবাদে শামিল কমপক্ষে হাজারখানেক মানুষ, ঠিক সেখান থেকেই এক সময় বয়ে যেত দেশের অন্যতম বড় নদী!
খরা এবং সরকারি অবহেলার মুখে এখন অবশ্য সে জায়গা শুকিয়ে কাঠ। পানির অব্যবস্থাপনা, কট্টরপন্থী প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সরকারকে তার প্রথম অভ্যন্তরীণ সংকটের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে।
যে ভিডিওগুলি সামনে এসেছে তাতে দেখা গেছে হাজার হাজার মানুষ দশম শতাব্দীতে নির্মিত বিখ্যাত সেতুর পাশে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখছেন, যা একসময়ে ইরানের সাফাভিদ সাম্রাজ্যের স্বাক্ষর বহন করে চলেছে।
এখন দিয়েই একসময়ে বয়ে যেত জ়ায়ানদেহ্ নদীর ধারা। এখন সেখানে জলের চিহ্নমাত্র নেই।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।